সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যা মামলাটির চলমান তদন্তের শততম ধার্য তারিখ আজ। এর আগে র‌্যাবের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে ৯৯ বার সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এভাবে ধারাবাহিক এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১ বছর অর্থাৎ মাসের হিসাবে ১৩৮ মাস ধরে পিছিয়েই যাচ্ছে। এর আগে ২২ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন অর্থাৎ আজ ৭ আগস্ট ধার্য করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম গত রাতে যুগান্তরকে বলেন, আমি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। বাধ্য হয়েই পরবর্তী তারিখের জন্য সময় প্রার্থনা করতে হবে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনীকে হত্যা করা হয়। এরপর রুনীর ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। এরপর পেরিয়ে গেছে সাড়ে ১১ বছর। আদালত থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য মতে, এখনো প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ আবারও নতুন দিন ধার্য করা হলে প্রতিবেদন দাখিল ১০০ বারের মতো পেছাবে।

দীর্ঘদিন পরও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় হতাশ সাগর-রুনীর পরিবার। তদন্ত সংস্থা র?্যাব বলছে, গুরুত্ব সহকারে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, মামলার তদন্ত সংস্থা যদি তদন্ত করতে না পারে অন্য কোনো সংস্থা দিয়ে তদন্ত করা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গোলাম সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনী রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। তখন বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ।